Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
Napai Chandi Fair
Transportation
20 km from Rangpur Sadar. Formerly located in Pirgacha Upazila.
Details

আলাইকুড়ি নদী থেকে দুটি সংযোগ খাল কেটে গোপন দূর্গ ভবনে সংযোগ দেয়া হয়। এই সংযোগ খালে দেবী চৌধুরাণীর নৌকার বহর রাখা হতো। চণ্ডিপুরের গোপন দূর্গভবনে নবাব নুরউদ্দিন বাকের জং, ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরাণী এবং শিবচন্দ্র রায় মাঝে মাঝে গোপন সভায় মিলিত হয়ে ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামের রণ কৌশল নির্ধারণ করতেন। ওখানে পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরের অবস্থান ছিল বলে জানা যায়। নবাব নুরুউদ্দিন বাকের জং ও দেবী চৌধুরাণীর গোপন দূর্গ ভবণ থাকার কারণে চণ্ডিপুরের জঙ্গলাকীর্ণ এ স্থানটির নাম হয় পবিত্রকুটি বা পবিত্রঝাড় । চণ্ডিপুর, ফকিরটারী এবং কুটিপাড়া গ্রামে ছিলো পীর, ফকির, সন্ন্যাসীদের বড় আস্তানা। ইণ্ডিয়া কোম্পানী এই পীর ফকির সন্ন্যাসীদের ভোগদখলকৃত লাখেরাজ সম্পত্তির অধিকার কেড়ে নিলে এরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ইতিহাসে এ বিদ্রোহ “ফকির সন্ন্যাস বিদ্রোহ” হিসাবে খ্যাত ।

পীরগাছা ইউনিয়ন সদরের ২ কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা রাস্তার পাশেই নাপাই চণ্ডির মেলার অবস্থান । ১৭৮৩ সালের বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিদ্রোহীদের গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে চণ্ডিপুর গ্রামের এ স্থানে ইংরেজ বাহিনী আচমকা আক্রমণ শুরু করে। পীরগাছার মন্থনার জমিদার জয়দূর্গা দেবী (দেবী চৌধুরাণী) ইংরেজদের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে এখানে নিহত হন। তার সাথে নিহত হন ইটাকুমারীর মানব প্রেমিক জমিদার শিবচন্দ্র রায় এবং দেবী চৌধুরাণীর ছোট ভাই কেষ্ট কিশোর চৌধুরীসহ অসংখ্য ফকির সন্ন্যাসী। এ এলাকার লোকজন দেবী চৌধুরাণীকে চণ্ডি মা বলে ডাকতো। রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় না পারাটাকে না পাইম বা না পাই বলা হত। অর্থ্যাৎ আমি বা আমরা পারি না চন্ডিদেবী (দেবী চৌধুরাণী) ইংরেজ বিরোধী যুদ্ধে পারলেন না, হেরে গেলেন এ কারণে চণ্ডিপুর গ্রামের এ স্থানটির নাম হলো নাপাইচণ্ডি। স্থানীয় লোকজন চণ্ডি দেবীর (দেবী চৌধুরাণীর) গৌরব গাথা স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য লড়াইয়ের এ স্থানটিতে “নাপাই চন্ডির মেলা” নামে প্রচলন করেন। লড়াইয়ের মাঠের মাঝখানে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি পাকা দালান এখনো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

দালানটির উত্তরে লাগোয়া আর একটি দালানের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। দালান দুটির সামনে রয়েছে একটি বিরাট পুকুর। পুকুরটি দেবী চৌধুরাণীর নির্দেশে খনন করা হয়। জরাজীর্ণ দালানটিকে মসজিদ ও ধ্বংসাবশেষ দালানের অংশটিকে মন্দির বলে অনেকে মনে করেন।